বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০১০

বহুজাতিক কোম্পানীর প্রতারনা, প্রসাধনী পণ্যের বিজ্ঞাপন, ‘শ্যাম্পু , টুথপেস্ট, বিউটিক্রিম ও সাবান ব্যবহারে সর্তক থাকুন, প্রতিটি পণ্যের লেবেল পড়ে দেখুন




শরীরকে সুন্দর, আকর্ষণীয়, পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনী, কসমেটিক্স, টয়লেট্রিজ সহ অনেক আইটেম ব্যবহার করি। যেমন- শরীর পরিস্কার করার জন্য Toilet Soup, Beauty Soup বা সাবান ব্যবহার করি। দাঁত ও মুখ পরিস্কারের জন্য আমরা টুথপেস্ট ব্যবহার করি, খুশকি মুক্ত চুলের জন্য আমরা Hair Shampoo, Hair gel, Hair color এবং Hair oil ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও সামগ্রিক ভাবে আমরা আকর্ষণীয়, সুন্দর, স্মার্ট থাকার জন্য পারফিউম, ভ্যানিশিং ক্রিম, সুগন্ধী সামগ্রি, নেইল পালিশ, After shave lotion, cold cream, shaving cream, sunbath lotion, sunscreen lotion, nail enamel, Mouth wash, facial cosmetics, hand and body lotions, hair and eyelash dyes, lipstick, hair spray, mascara, Anti-dandruff shampoo, eye gel, Detergent soup, liquid foundation, makeup, Pencil, lip gloss, bubble bath, shower gels, facial cleansers, personal lubricating agent ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। প্রিয় পাঠক- উপরে উল্লেখিত প্রতিটি প্রসাধনী সামগ্রি আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি শুধুমাত্র আমাদের মানসিক, নান্দনিক দিক বিবেচনা করে সর্বোপরী বহুজাতিক কোম্পানীর পণ্যের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে। বাংলাদেশের কসমেটিক্স মার্কেটিং এ সবচেয়ে এগিয়ে আছে Unilever Bangladesh Ltd. Product Marketing Concept এ Unilever’ বাংলাদেশে সেরা এ কথা আমাদের মানতেই হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মতো ভোক্তা হিসেবে আমাদের মনেও কিছু প্রশ্নের জন্ম ন্যায় তা হলো-
সত্যিই কি Fair & Lovely ক্রিম ব্যবহার করে একজন কালো মেয়ে ফর্সা হতে পারবে? কারণ বিজ্ঞাপনে সাধারণত দেখানো হয়, একজন কালো, কুৎসিত মেয়ে ৩ সপ্তাহ Fair & Lovely ব্যবহার করে অপরুপা হয়েছে, রাজকন্যা হয়েছে, মঞ্চ কাঁপানো নায়িকা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে বিজ্ঞাপনে যদি Fair & Lovely ব্যবহার করে কালো, কুৎসিত মেয়ে সুন্দর হতে পারে তাহলে বাস্তবে কেনো হবে না?

কারণ বিজ্ঞাপনে একটি পণ্যের Feature এবং Benefit নিয়ে ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের একটি Visual advertisement দেখানো হয়। সূতরাং বিজ্ঞাপনের সাথে যদি বাস্তব অবস্থার মিল তৈরী না হয় তাহলে পণ্যের গুণাবলী নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং বিজ্ঞাপনের নীতি এবং নৈতিকতার প্রশ্ন উঠতে পারে। যাকে আমরা বলি-ইমোশনাল ব্লাক মেইলিং।
আরেকটি প্রশ্ন আমাদের মনে তৈরী হচ্ছে তা হলো Fair & Lovely যদি কালো ত্বক ফর্সা করতে পারতো তাহলে Unilever এর সবচেয়ে বড় মার্কেট হতো আফ্রিকা মহাদেশে । আফ্রিকা মহাদেশে Unilever এর Marketing কি রকম সেটা Unilever কর্তৃপক্ষ ভালই বুঝতে পারছেন! অথবা ব্যাপারটি নিয়ে Challenge হতে পারে। Fair & Lovely Cream এর রং ফর্সা করা ভূমিকা কতোটুকু?

একটু ভেবে দেখুন Fair & Lovely, Fair & Care, Tibbet Snow ইত্যাদি Cream এর কমার্শিয়াল বা Advertisement এ যে মডেলদের ব্যবহার করা হয় তারা কি খুব কুৎসিত, কালো? নাকি তারা সুন্দরী? অর্থাৎ Unilever তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনে যে মডেলদের ব্যবহার করেন তারা প্রায় সবাই সুন্দরী এবং কেউ কেউ বিশ্বসুন্দরী। সূতরাং সুন্দরী কিংবা বিশ্ব সুন্দরীদের দিয়ে রং ফর্সাকারী ক্রিম এর বিজ্ঞাপন দেওয়ার যৌক্তিকতা কতটুকু? প্রিয়পাঠক বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখবার মতো। তবে এ ক্ষেত্রে Unilever চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে প্রমান করা উচিত- রং ফর্সাকারী ক্রিম অর্থাৎ Fair & Lovely ক্রিম ব্যবহার করে অসুন্দর, কালো, কুৎসিত মেয়ে অনন্য সুন্দরী হয়ে উঠতে পারে। প্রিয় পাঠক, আপনারাও হয়তো এ চ্যালেঞ্জ দেখার অপেক্ষায় থাকবেন। আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম। তবে আলোচ্য বিষয়ে আমরা দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সাথে অনলাইনে প্রশ্ন করে যে সব উত্তর পেয়েছি তাতে যা প্রমাণিত হয় তা হলো রং ফর্সাকারী ক্রিম রং ফর্সা করতে পারে না। অর্থাৎ রং ফর্সাকরাী ক্রিম ত্বকের মেলানিনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। বরং রং ফর্সাকারী ক্রিমে ব্যবহৃত ক্ষতিকর ক্যামিকেল থেকে ক্যানসার সহ বিভিন্ন প্রকার রোগ যেমন: ক্যানসার, ত্বকের রোগ, টিউমার, লিভার কিংবা কিডনী বিকল হওয়ার Chance থাকে অনেক বেশী।

ইংল্যান্ডের Cancer Research institute এর মতে, প্রায় ১০০ বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রতি ৮০ জন লোকের মধ্যে ১জন ক্যানসারে আক্রান্ত হতো। কিন্তু ২০০৮ সালে এসে এখন প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের ক্যানসার হয়ে থাকে। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবশ্যই সবার মনে ভাবনার সৃষ্টি করবে তা হলো- প্রতিটি মানুষ গড়ে ১২০ বছর বেঁচে থাকার ক্ষমতা আছে কিন্তু অতিরিক্ত বিষক্রিয়ার কারণে মানুষের গড় আয়ু মাত্র ৬০ বছর থেকে ৭৫ বছর। প্রতিনিয়ত আমরা বিষক্রিয়ার আক্রান্ত হচ্ছি। এছাড়াও Personal Care, house hold products, কীটনাশক, অত্যাধিক তেজস্ক্রিয়তার কারণে সবচেয়ে বেশী মানুষ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এক গবেষনায় দেখা গেছে, প্রসাধন সামগ্রিতে প্রায় ২৯৮৩ রকম ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয় যা সাধারণত প্রতিদিনের ব্যবহার্য উপাদন যেমন- Shampoo, shower gels, shaving creams, toothpaste, skin cream, deodorants, conditioner ইত্যাদিতে পাওযা যায়। প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহৃত এই ২৯৮৩ রকম Chemical এর মধ্যে ৮৮৪ টি Chemical বিষাক্ত এবং ৭৭৮ টি Chemical অত্যন্ত বিষাক্ত যা প্রাণনাশ করতে পারে।
৩৭৬ টি Chemical ত্বক ও চোখের রোগের জন্য দায়ী। ৩১৪ টি Chemical এর কারণে ক্যানসার ও জন্মগত ক্রটি নিয়ে শিশু জন্মাতে পারে অথবা শারীরিক বিকলাঙ্গ হতে পাওে ১৪৬ টি Chemical কারনে বিভিন্ন ধরেনের ক্যানসার উৎপন্নকারী টিউমার জন্মাতে পারে শরীরে। ১২৫ টি Chemical সরাসরি ক্যানসার রোগের জন্য দায়ী। প্রিয় পাঠক- উন্নত দেশে প্রসাধনী কোম্পানীগুলো তাদের পণ্যের লেভেলে ব্যবহৃত Chemical গুলোর নাম উল্লেখ করে না।
দু’একটি কোম্পানী যদিও ব্যবহৃত Chemical এর নামে উল্লেখ করে তবুও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ক্ষতিকর এসব Chemical এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর একটি Chemical এর নাম হচ্ছে সোডিয়াম লোরাইল সালফেট (এসএলএস)। সোডিয়াম লোরাইল সালফেট সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক একটি Chemical যা সাধারণত Personal care products এ সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা হয়। প্রিয় পাঠক, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, ডুবাই, মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশে সোডিয়াম লোরাইল সালফেট দিয়ে প্রস্ত্ততকৃত প্রসাধনী সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আপনি সোডিয়াম লোরাইল সালফেট নিয়ে প্রর্যাপ্ত তথ্য পেতে ইন্টারনেটের চার্চইঞ্চিন Google বা Yahoo তে sodium lauryl sulfate লিখে search দিলে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাবেন এবং কোন কোন প্রসাধন সামগ্রীতে এই ক্ষতিকর Chemical ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে তথ্য পাবেন। Sodium lauryl sulfate কে প্রাণঘাতি নিরব আততায়ী বলা হচ্ছে কারণ এই ক্ষতিকর Chemical দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছি। আমেরিকার Food and Drug Administration কর্তৃক অনুমোদিত এই Sodium Lauryl sulfate কে সাধারণত Garage Floor Cleaners, Car wash soaps অথবা Engine degreasers হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মুনাফালোভী কোম্পানীগুলো তাদের প্রসাধনী সামগ্রীতে এই ক্ষতিকর Sodium Lauryl salfate ব্যবহার করে যার ক্ষতিকর প্রভাবের কারনে উন্নত বিশ্বে এই Chemical কে নিরব ঘাতক বা Sailent Killer হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্বের প্রায় সব দেশে এর ব্যবহার বন্দ ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রায় উন্নত বিশ্বের প্রায় সবদেশে Unilever এর All clear শ্যাম্পুসহ অনেক ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী নিষিদ্ধ করেছে। প্রিয় পাঠক, আপনিও আপনার বাসায় ব্যবহৃত All clear shampoo তে ব্যবহৃত Active ingrediant বা Chemical Name গুলো ভালভাবে পড়ে নিন। অথবা আপনি All clear shampoo এর Level ভালভাবে পড়ুন। দেখুন সেখানে All clear shampoo এর মধ্যে sodium lauryl sulfate ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? যা্ই হোক, আমরাই দিয়ে দিচ্ছি- All clear shampoo তে- ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক Chemical এর নাম। বাংলাদেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত clear অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর কার্যকরী উপাদানগুলো হচ্ছে-
1. Sodium Lauryl Ether sulphate
2. Cocoami dopropyl Betaine
3. Dimethicones
4. Zinc Pyrithione
5. Cationic Poly men
6. Menthol
7. L-Lysine
8. Vitamin E Acetate
9. Sunflower Oil
10. Perfume
11. Aqua বা water
এছাড়াও দুটি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে যার Chemical name clear shampoo এর বোতলের লেভেলে কোড দিয়ে লেখা হয়েছে হয়তো ব্যবসায়িক গোপনীয়তা রক্ষার্থে। যাই হোক- Sodium Lauryl ether sulphate এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে আমি পূর্বেও বলেছি এবং উপরোক্ত Chemical এর তালিকায় Cocoamidopropyl betaine আরেকটি ক্ষতিকর Chemical হিসেবে চিহ্নিত এবং নির্দেশিত যা ব্যবহারে চোখের মধ্যে এবং চোখের উপরে ও নীচের পাতায় মারাত্মক ধরনের ত্বকের প্রদাহ বা skin inflammation দেখা দিতে পারে। এই ক্ষতিকর Chemical Cocoamido Proy1 Betaine এর অতিরিক্ত ব্যবহার এবং সব সময় ব্যবহারে চোখের অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি শক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে। সুতরাং বাজারের এসব shampoo ব্যবহার এবং কেনার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন, তার সাথে বিষাক্ত Chemical এর নাম দেখে আমাদের অর্থাৎ ভোক্তা শ্রেণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ক্ষতিকর বিষাক্ত Chemical দিয়ে তৈরী shampoo এবং cosmetic ব্যবহার করে আমরা ক্যানসার টিউমার, লিভার, কিউনি ফেইলিউর এ আক্রান্ত হবো নাকি সু-স্বাস্থ্য রক্ষায় আবার আরও যত্নবান হবো? সেই সিদ্ধান্ত পাঠক মহলের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হলো। তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে অধিক অর্থ ব্যয় করে, পণ্যের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সুস্থ শরীরকে রোগক্রান্ত করার বা ক্যানসার সৃষ্টি করার কোন মানে হয় না। রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আমরা যেমন রোগাক্রান্ত হচ্ছি তেমনী shampoo, cosmetic এর নামে প্রসাধনী কিনে আমরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল উপাধীতে খ্যাত আমাদের এদেশে এসব পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, মূল্য নির্ধারণ করার মতো অকার্যকর প্রতিষ্ঠান আছে সত্য কিন্তু তাদের কার্যকারীতা নিয়ে আমাদের অনেক তীক্ত অভিজ্ঞতা এবং প্রশ্ন রয়েছে। সর্বোপরী এসব cosmetics, toiletries ইত্যাদি উৎপাদন, বিপনন ও বিক্রয়ের কোন প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা আমাদের দেশে নেই। ব্যাপারটা অনেক সময় মনে হয় এ দেশে ‘জন্মই যেনো আজন্ম পাপ’ সে অবস্থার মতো।

কিভাবে আমরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি রাসয়নিক Chemical দিয়েঃ প্রিয় প্রাঠক- রাষ্ট্রের তৃতীয় স্বম্ভ আগ্রাসী উদ্যমী এ মিডিয়ায় Personal care products এর দুষন এর মাত্রা নিয়ে আমাদের দেশে কোন কালেই কোন প্রতিবাদ ছাপা হয়নি। কারন বহুজাতিক এসব কোম্পানীগুলো নানা ছলনায়, কলা কৌশলে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের বিবেক, বোধ, নৈতিকতা ও সুষ্ঠুচিন্তার প্রবণতাকে বিকল করে দিয়েছে। সেই বিকল চিন্তার উদ্ভট কৌশল হিসেবে আজ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় Lux-Channel-I Super star তৈরি হচ্ছে। রাতারাতি অকাল পক্ক কিছু মেয়েকে Super star এ পরিণত করে Emotional Black Mailing এর মাধ্যমে তথাকথিত Heroine বানানো হচ্ছে। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছি কি এই Lux সাবান ব্যবহারে আমাদের শারিরীক সুস্থতা কিংবা অসুস্থতার হার কতোটুকু? এর প্রকৃত মুল্য কতো হওয়া প্রয়োজন? যাই হোক International Journal এ প্রকাশিত একটি জরীপ থেকে কিছু অংশ পরিশেষে উপস্থাপন করার ইচ্ছা পোষন করছি। জরীপে দেখা যায়, একজন মানুষ তার পুণাঙ্গ জীবনে যতো ধরনের Cosmatics, Toiletries, Personal Care Products ব্যবহার করে তার মধ্যে প্রায় 70,000 হাজার Chemical থাকে এবং এর মধ্যে ২৫০ ধরনের Chemical এর ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। বাকী 69750 ধরনের Chemical এর ইতিবাচক দিক সম্পর্কে বিজ্ঞাপনীদের যথেষ্ট নেতিবাচক ধারনা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।

ত্বকের মাধ্যমে কিভাবে Chemical শরীরে প্রবেশ করেঃ শরীরের সমস্ত অংশের আবরণ বা ত্বক শরীরের অভ্যন্তরের পরিবেশ রক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। কারণ এই ত্বকের মাধ্যমে প্রকৃতি থেকে অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস শরীরে ভিতরে রক্তে পৌছায় এবং শরীরের ভিতর থেকে অপ্রয়োজনীয়, দুষিত উপাদান ত্বকের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। বেশীর কসমেটিক পণ্য ব্যবহারে আমাদের ত্বকের এই স্বাভাবিক কাজ বা আদান প্রদান ক্ষমতা হ্রাস পায়। কারণ শরীরে অতি ক্ষুদ্র সে সকল রন্ধ্রে বা ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে এই আদান প্রদানের ব্যাপারটি ঘটে অতিরিক্ত Cosmatics ব্যবহারে সে সকল ছিদ্র বন্দ হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক খুব সহযে ত্বক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। University of Michigan এর একদল গবেষক তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেন যে, যে সকল অপ্রাপ্ত বয়স্ক/প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে কিংবা গর্ভবতী মেয়ে প্রতিদিন কোন না কোন Cosmatics কিংবা তথাকথিত Toiletries ব্যবহার করেছেন তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সসেবে তাদের ভ্রুণজাত সন্তান বিকালঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহণ করেছে। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে, ক্ষতিকর Cosmatics, Toiletries, Personal Care Products এ ব্যবহারে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনী ভবিষ্যত বংশধরদের ও জীবন বিপন্ন হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।